“কাঁক তাড়ুয়া”
কাঁক তাড়ুয়া আমাদের দেশের কৃষকরা তাদের ফসলের জমিতে কাঁক তাড়ানোর জন্য ব্যবহার করে থাকে। ফসলের জমির মাঝখানে মানুষ আকৃতির একটি বড় আকারের পুতুল দু-হাত প্রশারিত করে দাঁড়িয়ে থাকে আর কাঁক দুর থেকে তা দেখে এই ভেবে নেয় যে জমির মালিক তাকে মারবার জন্য ঢিল ছুড়ছে। এই ভয়ে কাঁক পালিয়ে যায়। অপরদিকে মানুষ আকৃতির সেই কাঁক তাড়ুয়াটি ঠিক সেই ভাবেই দাড়িয়ে থাকে।
কিন্তু বর্তমানে এই কাঁক তাড়ুয়াটি বিলুপ্ত প্রায়। এখন আর কাঁক তাড়ানোর জন্য কাঁক তাড়ুয়া ব্যবহার করা হয় না। এখন ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক যা আমাদের পরিবেশকে দূষিত করে। এই কীটনাশক বায়ুর সাথে মিশে যায় এবং পরবর্তীতে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের সময় আমাদের শরীরের ভেতর প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবানুর সৃষ্টি করে। অপরদিকে এই সব কীটনাশক ফসলের সাথেও মিশে যায়। যা পরবর্তীতে আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে থাকি। আর এই ধরনের কীটনাশকের ফলে আমাদের দেহে বাসা বাঁধে নানা ধরনের রোগ-জীবানু।
পরিশেষে এইটুকু বলতে পারি যে কৃষক শুধু কাঁক তাড়ানোর কাজে কাঁক তাড়ুয়া ব্যবহার করলেও সেই সাথে সাথে আমাদের দেহে রোগ-জীবানুর সংক্রামনটারও একটা ভাল ট্রিটমেন্ট হয়ে যেত...........................
এই কাঁক তাড়ুয়া এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এটা কল্পনার বস্তু হয়ে যাবে.................