করোনাভাইরাসগুলি এমন ধরণের ভাইরাস যা সাধারণত মানব সহ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শ্বাসযন্ত্রের ট্র্যাক্টকে প্রভাবিত করে। এগুলি সাধারণ সর্দি, নিউমোনিয়া এবং মারাত্মক তীব্র শ্বাসযন্ত্রের লক্ষণের (এসএআরএস) সাথে যুক্ত এবং এটি অন্ত্রকেও প্রভাবিত করতে পারে।
✪ করোনাভাইরাসের লক্ষণ:
ঠান্ডা, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাস নিতে অসুবিধা, জ্বর, এগুলিই ঐ ভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের এর জেরে নিউমোনিয়া হতে পারে এবং এই ভাইরাস কিডনিরও ক্ষতি করে।
✪ প্রকারভেদ:
বিভিন্ন ধরণের মানব করোনাভাইরাস তাদের অসুস্থতার তীব্রতার কারণে এবং তারা কতদূর ছড়িয়ে দিতে পারে তার মধ্যে তারতম্য রয়েছে।
বর্তমানে ছয়টি স্বীকৃত ধরণের করোনাভাইরাস রয়েছে যা মানুষকে সংক্রামিত করতে পারে।
সাধারণ ধরণের মধ্যে রয়েছে:
২২৯-ই (আলফা করোনাভাইরাস)
এন এল-৬৩ (আলফা করোনাভাইরাস)
ও সি-৪৩ (বিটা করোনাভাইরাস)
এইচ কে ইউ-১ (বিটা করোনাভাইরাসে)
✪ প্রতিরোধে করণীয়:
প্রথমত, এই ভাইরাসটি যেখানে ছড়াচ্ছে সেখানে যাওয়া এড়ানো উচিত। আর আপনি যদি একান্তই এমন জায়গার কাছাকাছি থাকেন তবে এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে আপনি নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি অবলম্বন করতে পারেন ;
• আপনার হাত সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। যদি সাবান না থাকে তবে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
• আপনার নাক এবং মুখ ভালভাবে ঢেকে রাখুন।
• অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন। তাঁদের ব্যবহৃত বাসন ব্যবহার করবেন না এবং তাঁদের স্পর্শ করবেন না। এর ফলে রোগী এবং আপনি দুজনেই সুরক্ষিত থাকবেন।
• ঘর পরিষ্কার রাখুন এবং বাইরে থেকে আসা জিনিসগুলিকেও পরিষ্কার করে ঘরে আনুন।
• নন-ভেজ বিশেষত সামুদ্রিক খাদ্য খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। কেননা এই ভাইরাস সি-ফুড থেকেই ছড়ায়। বিশ্রাম করুন ।
• যতটা সম্ভব ঘরেই থাকার চেষ্টা করুন। তবে বাইরে প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়াই ভালো।
• বাইরে বের হওয়ার আগে সঙ্গে মাস্ক নিতে ভুলবেন না।
• বাস, ট্রেন বা এজাতীয় গণপরিবহনগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
• বাইরে থেকে ফিরে হ্যান্ডওয়াশ বা লিকুইড সোপ দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
• বাইরে যাওয়ার আগে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে যান। সকালে ঘণ্টাখানেকের জন্য জানালা খোলা রাখুন। তাতে পর্যাপ্ত সতেজ বাতাস এবং সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করবে।
• সুস্থ্য এবং শক্তিশালী থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। প্রচুর ফলমূল এবং পর্যাপ্ত পানি খাবেন। কোনো কিছু খাওয়া কিংবা রান্না করার আগে ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
• ডিম কিংবা মাংস রান্নার সময় চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত সময় ধরে রান্না করতে। খেয়াল রাখবেন, এগুলো যেন অবশ্যই সেদ্ধ হয়।
• ময়লা কাপড় দ্রুত ধুয়ে রাখার চেষ্টা করুন, দিন বা সপ্তাহ ধরে ফেলে রাখবেন না।
• সুরক্ষিত থাকতে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন। অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আপনার পরিচিত কেউ আক্রান্ত মনে হলেও দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
✪ করোনাভাইরাসের চিকিৎসা:
নাক থেকে শ্লেষ্মা বা রক্তের মতো শ্বাস-প্রশ্বাসের তরলগুলির নমুনা গ্রহণ করে দায়ী ভাইরাসটি সনাক্ত করা যায়। এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে কোনও ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের চিকিৎসার জন্য ভ্যাকসিন তৈরির জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
✥ ✥ নিজেরা সর্তক হোন এবং অন্যদেরকেও বিষয়টি শেয়ার করে জানান।