প্রিয় বন্ধুরা,
আমার লেখার শীর্ষক দেখে অবাক হবেন না। আজ এটি নিবার্চনের কারণ আছে। আচ্ছা বুঝিয়ে বলি, যেমন দু অক্ষর ইংরিজি লিখতে পারলেই, ইংরেজ হওয়া যায় না, ঠিক তেমনি বাংলা ভাষা বলতে পারলেই বাঙালি হওয়া যায় না।
আরে বাবা উত্তেজিত হচ্ছেন কেনো! যথার্থ যুক্তি দিলেই বুঝবেন, আমার কথার যুক্তি আছে।
আরে না না মশাই কারোর সাথে চুক্তি করে কথাগুলো বলছি না!
এই যে আপনি চট করে একটু বাঁকা সন্দেহ করে বসলেন মানেই আপনি বাঙালি।
আর এই যে আপনি! হ্যাঁ হ্যাঁ আপনি, আপনাকেই বলছি, যিনি আমার লেখাটা পড়ছেন বলি ধুতি পরতে পারেন?
এই মেরেছে! ইলাস্টিক দেওয়া হতে যাবে কেন! কি বিপদ! আরে বাবা ওই যে মালকোচা দিয়ে পরে, বাংলা ছায়াছবিতে দেখেননি সেই উত্তম কুমার আর সুচিত্রা সেনের মাখো মাখো প্রেম।
এই তো ঠিক ধরেছেন, আরে মশাই বার্গার, পিৎজা দিয়ে কি বাঙালিয়ানা হয়?
নকুরের সন্দেশ খেলেন না, গোলবাড়ির পাঠার মাংস খেলেন না, বসন্ত কেবিন এর কাটলেট আরো কত সুস্বাদু খাবার যদি নাই খেলেন, তবে আপনি কিসের বাঙালি হে!
দেখেছেন এই যে খাবার এর কথা লিখতে লিখে জিভে জল এসে পড়ল, এটাও ওই ভোজনরসিক বাঙালির লক্ষণ।
আচ্ছা কফি হাউসে আড্ডা মেরেছেন কখনো?
ফুটবল নিয়ে মোহনবাগান আর ইস্ট বেঙ্গল নিয়ে তর্কাতর্কি?
যদি না করে থাকেন, দুঃখিত প্রকৃত বাঙালির মর্যাদা আপনাকে দিতে পারলাম না!
আহা! চোটে যাচ্ছেন কেনো?
মশাই চাইনিজ খেয়ে কিসের বাঙালি?
একজায়গায় বসে, মানে ওই একটু পরণিন্দা, পরচর্চা যদি নাই করলেন! ছ্যা ! ছ্যা ! অমন বাঙালির মুখে আগুন।
তবে নয়তো কি মশাই! সারাদিন কাজের শেষে , বেশ জমিয়ে পরের সমালোচনা না করলে, রাত এ যে দুঃস্বপ্ন আসবে।
পরলোক এ গিয়ে পূর্বপুরুষ দের মুখ দেখাবো কেমন করে!
যদি জানতে চাওয়া হয়, পাশের বাড়ির কমলের, রমলার সাথে যে, ইনটু মিন্টু চলছিল সে খবর মিস করলাম কি করে?
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো আমাদের জন্মগত অধিকার।
আরো অনেক বিষয় আছে, বাঙালি সম্পর্কে একদিন এ সব বিশ্লেষণ স্বয়ং বিষ্ণুর পক্ষেও সম্ভব নয় আমি তো কোন ছার।
আজ যে বিষয়গুলি জানালাম, তার মধ্যে কোন গুনগুলো আপনার আছে ভাবুন!
থাকলে আপনি বাঙ্গালী নইলে মশাই আপনি নিজের উপাধির যোগ্য নন।
নমস্কার। রাগ করবেন না, বাঙ্গালী স্পষ্টবাদী।