বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে সবার মতো আমি নিজেও গৃহবন্দি ছিলাম। কিন্তু আমার সাবেক কলিগ দের হঠাৎ আগমনে ঘর থেকে বের হই কিছুদিন আগে।
উদ্দেশ্য ছিলো কিছুটা সময় নিজেদের মাঝে কাটানো। সেই বিকেলটাতে আমরা নিজেরা অনেকটা সময় নদীর তীরে আড্ডা দিয়ে কাটাই। তারপর সন্ধ্যায় নিজেরা সিদ্ধান্ত নেই, ছন্দু হোটেলের বিখ্যাত পরোটা & আলুভর্তা খাবার।
ছন্দু হোটেল & রেস্টুরেন্ট
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক এর কুমিল্লা অংশের পাদুয়ার বাজার এলাকায় এই বিখ্যাত হোটেলের অবস্থান। মূলত এটা বিখ্যাত এর সুস্বাদু গরুর মাংসের জন্য। এই হোটেলের জনপ্রিয়তা এতোটাই ছিলো যে, এখানে ক্রেতার চাহিদা সামলাতে প্রতিদিন একটা করে গরু জবেহ করতে হতো। বর্তমানে করোনার কারণে ক্রেতার ভীড় কমলেও, এর জনপ্রিয়তা একেবারেই কমে নাই।
আমরা কয়েকজন মোটরসাইকেল এর মাধ্যমে সন্ধ্যা ৮ টার দিকে যখন রেস্টুরেন্ট এ পৌছাই, তখন রেস্টুরেন্ট অনেকটাই খালি। করোনার কারণে তাদের ক্রেতার সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে। হাতে গোনা কিছু ক্রেতার দেখা মিললো।
আমরা পৌছেই আমাদের কাংখিত পরোটা আলুভর্তা এর অর্ডার করি। সামান্য কিছু সময়ের মাঝেই আমরা পেয়ে যাই এই সুস্বাদু খাবার।
আমরা খাবার পেয়ে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করিনি। দ্রুত তা খেতে শুরু করি। আমি এবং আমার বন্ধুরা তৃপ্তিসহকারে খাবার খেয়ে নেই।
করোনার এই সময়ে হোটেলে খাওয়া এএকেবারেই উচিত নয়। কিন্তু এটা একটা হঠাৎ সিদ্ধান্ত ছিলো এবং আমরা তা করে ফেলি।
আমি সকলকে অনুরোধ করবো এই মহামারীতে যথাসম্ভব বাহিরের খাবার ত্যাগ করতে।
আর এই মহামারী শেষ হলে যদি কেউ কুমিল্লা আসেন, তার প্রতি অনুরোধ থাকবে ছন্দু হোটেল & রেস্টুরেন্ট এ একটা ঢোঁ মেরে যাওয়ার।
ধন্যবাদ সবাইকে...