বিডিকমিউনিটির একাল সেকাল - হাইভ ব্লগের কিছু অব্যক্ত বিষয় ।

আসসালামু আলাইকুম, শুভদিন।

বিডি কমিউনিটিতে সবাইকে স্বাগতম জানাই। দীর্ঘ একটি সময় পর আবার এসে হাজির হলাম আপনাদের সামনে। আশা করি সবাই ভালো আছেন৷

বিডিকমিউনিটি হাইভ ব্লগে বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য তথা বাংলাদেশের ব্লগারদের জন্য একটি নিবেদিত কমিউনিটি। যদিও বিশ্বের সকল মানুষই নিজের সৃজনশীলতা ও মেধার পরিচয় দিয়ে পোস্ট করতে পারেন। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগ ও নিজেকে মেলে ধরার খাত।

Src

আজ আমি উক্ত কমিউনিটি সম্পর্কে নিজের কিছু অভিজ্ঞতা আর মতামত সহ আক্ষেপের কথা তুলে ধরবো। যে বিষয়টি সম্পর্কে সবাই বেশি একটা আলোচনা করে না আর নানা কারণে উক্ত বিডিকমিউনিটিতে ব্লগারদের রং বাহারি পোস্ট ও আনাগোনা কমে গিয়েছে।

তবে আমি আশা করি সবকিছু আবার আগের মতো হয়ে যাবে আর হাইভ ইকোসিস্টেমও সময়ের সাথে ডেভেলপ হবে ও এর সুদিন ফিরে পাবে।

বিডিকমিউনিটির স্বর্ণালী যুগ

সবকিছুই একসময় তার জৌলুস হারিয়ে ফেলে আর সময়ের বিবর্তনে কিছুই আর আগের মতো থাকে না। এটি খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়, তবুও আক্ষেপ থাকে যে বেশ কয়েক বছর আগে হাইভ ব্লগে অন্য কমিউনিটিগুলোর থেকে হাইভ বেশ নামকরা ও সবচেয়ে উচ্চ নামকরা ৫ টির মধ্যে একটি ছিল।

একটি কমিউনিটিতে যদি বিভিন্ন রকমের ও ক্যাটাগরির ব্লগার থাকে, আর ভালো মানের কিউরেটর, তাহলে তা ভালো অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম। কিন্তু, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মূল বিষয় হলো - ইউজার বেস কত পরিমানে আছে।

বছর দুয়েক আগে কমিউনিটিটির দিকে তাকালে বেশি সংখ্যক পোস্ট দেখতে পাওয়া যেত, তখন যদিও হাইভ টোকেনের দাম ছিল বেশ। প্রতি লিকুইড হাইভ $1 মানের কাছাকাছি থাকায় তখন খুব সহজেই এক্সটার্নাল মার্কেটে ভালো একটি দর পাওয়া যেত।

একদিকে হাইভ টোকেনের দরপতন আর অন্যদিকে হাইভ থেকে বিরতি নেওয়ার ফলে ক্রিপটোকারেন্সিটির মান ও অবস্থান অবনমন ঘটলো। পুরো ইকোসিস্টেমের যে প্রভাবটা তার সোজা ইফেক্ট পড়লো বিডিকমিউনিটির ওপর।

সেই ২ বছর আগের সময়কাল যথেষ্ট ভালো ছিল, এখন অবশ্য তার অনেকটাই ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। আশা করি এ অবস্থা কেটে যাবে আর হাইভের বিয়ার মার্কেট শেষ হয়ে উন্নত অবস্থান সৃষ্টি হবে।

Src

একটি অব্যক্ত আক্ষেপ

আপভোটের বিপরীতে এই ইকোসিস্টেমে আছে ডাউনভোট অপশন। হাইভ পাওয়ার বাড়ার সাথে সাথে যেকোন ব্যাক্তি সাধু / অসাধু সবারই হাতে ক্ষমতা চলে যায় বড় ভোট দেওয়ার। এর ফলে ডিসেন্ট্রালাইজড সিস্টেমে প্রত্যেকেই নিজের মতো করে উন্নতি করা কিংবা৷ ক্ষতিসাধন করতে পারে।

হাইভের ডাউনভোট পলিসির জন্য শুরু থেকেই আমার একটি অনাপত্তি ছিল। প্রথমত, ন্যয্য পোস্টগুলোতেও যে কেইলউ বিনা কারণে ডাউনভোট দিয়ে রিওয়ার্ড ভ্যালু জিরো করে দিতে পারে।

একটি পোস্ট সাজাতে গেলে, বিভিন্ন আইডিয়া প্রস্তুত করে কনটেন্ট সৃষ্টি করতে গেলে অনেকটা সময় ও মেধাশ্রমের প্রয়োজন হয়। এটি প্রত্যেকটি অথরই জানে যারা এই ইকোসিস্টেমের সাথে আছেন। তবে বিষয়টির যথার্থ মূল্যায়ন প্রায়শই দেখা যায় না।

কখনো দেখা গিয়েছে একটি কমিউনিটিকে টার্গেট করে তার ইনফ্লুয়েন্সকে কমানোর জন্য লাগামহীনভাবে একের পর এক ডাউনভোট দেয়া হয়েছে সাধারণ ইউজারদের ওপর যাদের রেপুটেশন এবং হাইভ পাওয়ার কম ছিল।

দুর্বলদের ওপর সবলের অত্যাচার সে অনাদিকাল থেকে করা হয়ে আসছে। তবে বিকেন্দ্রীকৃত প্লাটফর্মে সুযোগের সমতা বিধান করা সবারই কর্তব্য। শুধু বেশি হাইভ পাওয়ার থাকলেই যে যাকে ইচ্ছা, যখন তখন ডাউনভোট দেওয়া যাবে, তা যেন না হয় এ জন্য উক্ত ইকোসিস্টেমে একটা নীতিমালা থাকা উচিত।
কিন্তু ওয়েব ডেভেলপার বা সফটওয়্যার ব্লকচেইন বিশেষজ্ঞ যারা হাইভ সৃষ্টি করেছেন, তারা এর কেন বিহিত করতে পারেন নি৷ বিষয়টি সত্যিই পীড়াদায়ক।

তবে আশা করি, এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সব ব্লগাররা একসাথে কাজ করতে পারবে। বিডিকমিউনিটির সুদিন সেদিন থেকে কমে গেল যখন অযাচিত ডাউনভোট দিয়ে লেখক ব্লগারদের মনোবল কমিয়ে দেওয়া হলো।

কিছু অসাধু ও ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নিয়োজিত লোকবর্গ কাজটি করে আসছেন তা বেশ বুঝতে পারা যায়। এটির সমাধান খোঁজার জন্য বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন এই প্রত্যাশা রাখি।

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। দেখা হবে নতুন কোন দিন সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন।

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now
Logo
Center