আমার জীবনে শুনা সত্যিকারের ভৌতিক ভয়ংকর কাহিনী

হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আশা করি সবাই খুব ভাল আছেন।
আল্লাহর রহমতে আমিও খুব ভালো আছি।

আমার জীবনে শুনা সত্যিকারের ভৌতিক ভয়ংকর কাহিনী
anatomy-71732_960_720.jpg
image source

হ্যালো বন্ধুরা আজকে আবারো একটি নতুন কাহিনী নিয়ে আপনাদের সাথে আমি পিংকি, একটি সত্তিকারের ঘটনা আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম ,পুরো ঘটনাটি না পড়লে বুজতে পারবেন না ঘটনার রহস্যটা কি , কয়েক জন বন্ধু তারা সবাই মিলে সিনেমা দেখতে সিনেমা হলে যায় , সিনেমা শেষ হয় রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ, সিনেমা শেষ হওয়ার পর তারা বাইরে দাঁড়িয়েছিল গাড়ির অপেক্ষায় , অপেক্ষা করতে করতে হঠাৎ দেখতে পেলো তাদের একজন বন্ধু সে সাইকেল চেপে রাস্তার পাশ থেকে যাচ্ছে , তারা দেখে তাকে জিজ্ঞেস করল কিরে কোথায় যাচ্ছিস ? সাইকেল থেমে তাকাতেই বলল, আরে বোনের বাসায় গিয়েছিলাম তাই বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি , দেরি হয়ে গেছে আজকে আর তোদের সাথে কথা বলব না চলে যায় , তারা বলল যে রাস্তা দিয়ে যাবি রাস্তা তো বেশি একটা ভালো না , আজ না যাস আমাদের বাড়িতে থেকে যা, সে কথা শুনে সে বলল নারে ভাই, বাড়িতে অনেক কাজ চলে যেতে হবে , এ কথা বলে সে বিদায় নিলো , যাইহোক তারাও গাড়ি করে বাড়িতে চলে গেল।

সে বন্ধু যেতে যেতে রাস্তায় হঠাৎ করে বৃষ্টি নামল, খুব জোরে , তখন সে সাইকেল নিয়ে বৃষ্টিতে কিভাবে যাবে , তাই কিছুক্ষণ একটা দোকানের পাশে অপেক্ষা করছিল , বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণ পর আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলো , কিছুদূর যেতে যেতেই রাত বারোটা বেজে যায় , সে চিন্তা করছিল এত রাতে যাওয়া কি তার ঠিক হচ্ছে , রাস্তাটাও তেমন একটা ভাল না এত কিছু চিন্তা করে লাভ নেই , সাইকেল দিয়ে যেতে আর কতক্ষণ লাগবে , তাই সে আবারো বাই সাইকেলে চেপে রাস্তা চলতে লাগলো।

কিছুদূর যেতেই দেখতে পেলো কিছু মানুষ খাটিয়া করে একটা লাশ নিয়ে যাচ্ছে , সে মানুষ দেখে সাইকেল থেকে নেমে গেল এবং হাঁটতে শুরু করল , হাঁটতে হাঁটতে মনে মনে ভাবছিল কে মারা গেলো , এত রাতে, আর এত রাতেই বা কেন লাশ নিয়ে যাচ্ছে সকালেও তো লাশ টা দাফন করা যেত , যাইহোক সেই চিন্তা করে লাভ নেই এই কথা ভেবে সে লাশের পিছন পিছন হাটতে শুরু করল, হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ চোখ পড়ল লাশের দিকে, চোখ পড়তেই দেখল লাশটি উঠে বসে গেল এবং তার দিকে তাকিয়ে একটি মুচকি হাসি দিলো, লাশের সেই বীভৎস মুখের হাসি দেখে থমকে দাঁড়িয়ে গেলো ছেলেটি , কিছুক্ষণ এভাবেই দাড়িয়ে রইল মনে হচ্ছে যেন তার জ্ঞান শক্তি হারিয়ে গেছে , হঠাৎ করে যেন থমকে গেল সবকিছু।

একটু স্বাভাবিক হলেই সামনেই একটি বাড়ি দেখতে পেলো , তাড়াহুড়ো করে সে বাড়িতে ঢুকে পড়ল , বাড়িতে ঢুকে দরজার মধ্যে জোরে জোরে নক করতে শুরু করল , এক হিন্দু মহিলা বেরিয়ে এলো , বলল কি হয়েছে কে তুমি , এত রাতে কোথায় থেকে এসেছ , সে ভয়ে ভয়ে বলছিল আমি খুব ভয় পেয়েছি , আমি বাড়িতে যাচ্ছিলাম রাস্তায় খুব ভয় পেয়েছি , আমি আজ রাত এখানে থাকতে চাই তখন মহিলা বললো ,কোথায় তোমার বাড়ি , গ্রামের নাম বলল , মহিলা বলল ঠিক আছে আজ রাতে এখানেই থেকে যাও, সে ঘরে ঢুকেই মহিলাকে সব কথা খুলে বলল , মহিলা সবকিছু শুনে বলল ভয় পেয়ো না কিছু হলে আমাকে ডাক দিও , বলে তার রুমে ছেলেটিকে বিছানা করে দিয়ে সে তার পূজোর রুমে গিয়ে বিছানা করল , এবং শুয়ে পড়ল।

কিছুক্ষণ পর ছেলেটি মহিলাটিকে ডাকছে , মহিলাটি এসে বলল কি হয়েছে, ছেলেটি বললো আমার খুব ভয় করছে , আপনি রুমের লাইট টা অন করে দেন , মহিলাটি লাইট অন করে দিয়ে চলে গেল , কিছুক্ষণ পর আবার ডাকছে মহিলাটি এসে বলল আবার কি হয়েছে ?ছেলেটি বললো আমি এখানে ঘুমাবো না আমি আপনার সাথে ঘুমাবো, আমার খুব ভয় করছে, এ কথা শুনে মহিলাটি বলল তুমি আমার সাথে ঘুমাবে এটা কি হয় , আচ্ছা যাই হোক তুমি তো আমার ছেলের মতোই , একথা বলে সে পুজোর রুমে ছেলেটির বিছানা করে দিলো , কিছুক্ষণ পর ছেলেটি আবার ডাকছে মহিলাটি উঠে জিজ্ঞাসা করল কি হয়েছে ? ছেলেটি বলল আমি বমি করব আমাকে কিছু একটা দিন , মহিলাটি একটি পাত্র এনে তার সামনে দিল , সে বমি করল আর বমির সাথে রক্ত বেরিয়ে আসলো , বুমি নয় যেন অজরে রক্ত বমি করছিল এই দৃশ্য দেখে মহিলাটি অস্থির হয়ে পড়ল , তার স্বামিকে ফোন করল স্বামী তাড়াতাড়ি চলে আসলো , আসার পর এ অবস্থা দেখে তার বাড়ির নাম্বার নিতে চাইলো সে বাড়ির ফোন নাম্বার দিল বাড়িতে ফোন করলে তার বাবা ফোন ধরলো।

জিজ্ঞেস করলো কে আপনি ? তারপর পুরো কথা বাবাকে খুলে বলল , তখন বাবা ও তাদের পরিবারের সবাই একটি গাড়িতে উঠে রওনা হল , কিছু দূর আসতেই রাস্তায় তাদের গাড়ির চার্জ শেষ হয়ে গেল , আর এদিকে ছেলেটার অবস্থা খুব খারাপ , নাক মুখ দিয়ে অনবরত রক্ত বের হতে থাকলো, মহিলাটি তার আশেপাশের মানুষজন কে ডেকে আনল , সবাই চিন্তা করল ছেলেটি হয়তো ভয় পেয়ে তার কলিজা কেটে গেছে , এভাবেই রক্ত অনবরত যেতে লাগল তার মুখের জবান বন্ধ হয়ে গেল , সেই সময় তার পিতা-মাতা এসে হাজির হলো , তার পিতা-মাতা আসার পর তার সাথে কোন কথাই বলতে পারিনি কেন তখন তার কোনো কথা বলার শক্তি ছিল না , এভাবে রক্ত পড়তে পড়তে কিছুক্ষন মধ্যে ছেলেটি মারা গেল।

এই কাহিনীটি তার ওই বন্ধুদের কাছ থেকে শোনা যে রাস্তায় তাকে বাই সাইকেল দিয়ে বাড়িতে যেতে দেখে ছিল এবং কথা বলেছিল,আশা করি গতবারের মতো এই ঘটনাটিও আপনাদের কাছে খুবই ভালো লেগেছে , আমি চেষ্টা করব আরও নতুন নতুন কিছু ঘটনা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হতে। সবাই ভালো থাকবেন , সাবধানে থাকবেন ,সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।

H2
H3
H4
3 columns
2 columns
1 column
Join the conversation now
Logo
Center