২০০৯-এ ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রার সঙ্গে বিয়ে হয় বলিউড ডিভা শিল্পা শেট্টির। শিল্পার বিয়ে নিয়ে সে সময় শোরগোল পড়েছিল বি-টাউনে। এনগেজমেন্ট রিং-এর দাম ছিল তিন কোটি টাকা। তরুণ তেহলানির ডিজাইন করা একটি লাল শাড়ি পরেছিলেন শিল্পা। প্রায় আট হাজার ক্রিস্টাল খচিত এই শাড়ির দাম ছিল ৫০ লক্ষ টাকা।
২০১২-এ অভিনেত্রী জেনেলিয়া ডি’সুজা তাঁর বহুদিনের পুরনো বয়ফ্রেন্ড রীতেশ দেশমুখকে বিয়ে করেছিলেন। এই বিয়েতে প্রথমে মহারাষ্ট্রের লোকাল স্টাইলে এবং পরে খ্রিস্টান মতে বিয়ে হয়েছিল। জেনেলিয়া বিয়ের দিন ডিজাইনার নীতা লুল্লার একটি ব্রাইডাল ড্রেস পরেছিলেন, যার আনুমানিক মূল্য ছিল ১৭ লক্ষ টাকা।
ব্যবসায়ী পাত্র ভরত তখতানির সঙ্গে জুহুর ইসকন মন্দিরে বিয়ে হয়েছিল ধর্মেন্দ্র-হেমা কন্যা এষা দেওলের। অভিনেত্রী বিয়ের দিন নীতা লুল্লারই ডিজাইন করা একটি লাল কাঞ্জিভরম শাড়ি পরেছিলেন। হিরে, সোনার ভারী গয়না পরেছিলেন এষা। শাড়িটার দাম ছিল তিন লক্ষ টাকা।
নবাবী কায়দায় নিকাহ হয়েছিল সাইফ-করিনার। রাজপরিবারের পুত্রবধূ বলে কথা। সাজপোশাক, আদপ-কায়দায় তার ছোঁয়া তো থাকবেই। করিনার নিকাহের দিন শাশুড়ি শর্মিলা ঠাকুরের ‘ঘরারা’ পরেছিলেন। পরিবারের ট্র্যাডিশন মেনে করিনাকেই এই পোশাকই পরতে হয়েছিল। করিনার এই ড্রেসের দামও আনুমানিক ১০ লক্ষের কাছাকাছি।
২০১৪-তে চলচ্চিত্র নির্মাতা সাহিল সঙ্ঘের সঙ্গে বিয়ে করেন দিয়া মির্জা। রীতু কুমারের ডিজাইন করা সোনাখচিত একটি লহেঙ্গা পরেছিলেন দিয়া। মুঘল যুগের স্টাইলে তৈরি দিয়ার বিয়ের পোশাকের দাম ছিল প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা।
গত বছরই কর্ণ সিংহ গ্রোভারের সঙ্গে জমকালো বিয়ে হয় বিপাশা বসুর। ডিজাইনার সব্যসাচীর তৈরি বাঙালি কনে বিপাশার শাড়ির রং ছিল লাল। বিপাশা ভারী কুন্দন জুয়েলারির পরেছিলেন বিয়ের দিন।
বলিউডের সবচেয়ে চর্চিত বিয়েগুলির মধ্যে অন্যতম। ২০০৭-এর এপ্রিলে চার হাত এক হয়েছিল অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্যা রাইয়ের। নীতা লুল্লা, আবু জানি, সন্দীপ খোসলার মতো ডিজাইনাররা ঐশ্বর্যার বিয়ের পোশাকের দায়িত্বে ছিলেন। বিয়ের দিন হলুদ শাড়িতে সোনার জরির কাজ করা একটি কাঞ্জিভরম পরেছিলেন বচ্চন-বধূ। এর দাম আপনিই অনুমান করে নিন।