কাজের চাপ! সময় নেই খাওয়ার! শুধু ধূমপান করার সময়টুকু বের করে নিতেই হয়। না হলে যে কিছুতেই হালকা লাগে না। মাথায় যে কাজের প্রেসার কি আর করা যাবে। কিন্তু ধূমপান করার ফলে যাঁরা মনে করেন চাপ কিছুটা কমে তাঁরা সম্পূর্ণ ভুল ভাবেন। কারণ ধোঁয়া রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কের মধ্যে চলে যায়। এছাড়া এটি মাথার মধ্যে গিয়ে বিপরীত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ভাবছেন তো ছাড়বেন কীভাবে? কোনও অসুবিধাই নেই শুধু বদলে ফেলুন নিজের কিছু অভ্যেস।
তবে ওষুধ খেয়ে কখনওই ধূমপানের ইচ্ছাকে দমাবেন না। এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। কোনও ওষুধ না খেয়েই দেখে নিন কীভাবে দূর করবেন আপনার সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা...
জোড়ে নিঃশ্বাস নিন
একটি ফাঁকা জায়গাতে বসে নিজের চোখ বন্ধ করে জোড়ে জোড়ে নিঃশ্বাস নিন। দুটো হাত পেটের ওপর রেখে নিঃশ্বাস ছাড়ুন এবং নিন দেখবেন এতে খুবই শান্তি অনুভব করবেন আপনি। চাপ কমবে এবং সিগারেট খাওয়ার প্রবণতাও কমে যাবে।
কল্পনা করুন
খুব বেশি চাপ অনুভব করলে নিজের চেয়ারে বা কোনও একটি ঘরে গিয়ে নিজের সঙ্গে কিছু সময় কাটান। কিছু ভালো ভালো কথা চিন্তা করুন। নিজের মনকে শান্ত করার চেষ্টা করুন। কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থাকুন, দেখবেন মাথা আবারও ঠিক ঠাক কাজ করতে শুরু করবে।
হেঁটে নিন
কাজের ফাঁকে গিয়ে কিছুটা হেঁটেও আসতে পারেন। অফিসের সামনে যদি মাঠ থাকে কিংবা করিডোর থাকে তাহলে সেখানে কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়ান। কিংবা নিজের কাছের মানুষের সঙ্গে ফোনে কথা বলুন অথবা মা বাব্র খোজ খবর নিন। অথবা রাস্তার ধারে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকুন। দেখুন অন্যান্য মানুষ কীভাবে কাজ করছে। দেখবেন নিজের কাজের বাইরে বেরলে অনেকটা মন হালকা লাগবে।
এক্সাসাইজ
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজের শরীর ঠিক রাখতে সাইকেল চালান অথবা সাঁতার কাটুন। দেখবেন এতে মন খুব সতেজ থাকবে। যখন আপনি নিজের মধ্যে পজিটিভ এনার্জি অনুভব করবেন তখন ধূমপান করার প্রবণতা আস্তে আস্তে কমে যাবে।
সময় বের করুন
কখনওই এক ভাবে বসে বসে কাজ করবেন না। যেই সময় ধূমপানের জন্য বরাদ্দ করেছেন সেই সময় কিছু অন্য কাজ করুন। যেমন ধরুন আপনার অফিসের কাছাকাছি থাকা কোনও কফি শপে ডেকে নিতে পারেন আপনার বন্ধুকে। এছাড়া গল্পের বই পড়ার অথবা ছবি তোলার অভ্যেস করুন। সিগারেট খেতে ইচ্ছে হলেই নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। দেখবেন ধীরে ধীরে সিগারেটের ধোঁয়াও আর সহ্য হবে না।
বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলুন
এমন কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলুন যাঁকে আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন। অথবা যিনি আপনাকে সিগারেট খাওয়ার সময় সঙ্গ দেন তাঁর সঙ্গে কথা বলুন সিগারেট না খেয়ে শুধু কথা বলতে যান। তাঁর অভ্যাসও ধীরে ধীরে ত্যাগ করানোর চেষ্টা করুন। দেখবেন তিনি না খেলে আপনারও আর খেতে ইচ্ছে করবে না।